বাগান নগরী তে ফুল ফোটালো মোহনবাগান !

কান্তিরাভা মোহনবাগানকে খালি হাতে ফেরায় না।
ধীরে ধীরে প্রবাদবাক্যে পরিণত হতে চলা এই শব্দবন্ধনী গুলোর মধ্যেই গতকালের সন্ধ্যার নির্যাস লুকিয়ে আছে। শেষ দুটি ম্যাচে মোহনবাগানের খেলায় অন্ত্যমিল খোঁজার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় থাকা প্রত্যেকে নিশ্চয়ই একমত – গতকাল ৯০ মিনিট ধরে মোহনবাগান রীতিমত লুঠতরাজ চালিয়েছে বেঙ্গালুরুর পেনাল্টি বক্সে। কিন্তু, নির্বাক অর্বাচীন স্কোরবোর্ড স্যার নেভিল কার্ডাসের বক্তব্য অনুযায়ী ম্যাচের গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে আপনাকে অজ্ঞাত রাখবে। মোহনবাগানের পক্ষে কাল গোল সংখ্যা ৭-০ হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।

এই ধরণের ম্যাচে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট কিছুটা ফাটকা খেলার চেষ্টা করেছিলো শুরু থেকে আমনদীপ কে লেফ্ট উইং ব্যাক হিসেবে খেলিয়ে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমনদীপের মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যর্থতা শুরুতেই বিপদ ডেকে এনেছিল, সোজা বুকে পা তুলে দেওয়ার অপরাধে লাল কার্ড দেখলেও কিছু বলার ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আশিস রাই কে নামিয়ে অবস্থার সামাল দেওয়া হয়, আর তার পর থেকেই শুরু সবুজ মেরুন ঝড়। প্রথমার্ধে কর্নার থেকে হেক্টর ঠান্ডা মাথার ভলিতে বেঙ্গালুরুর ডিফেন্সের ফাঁক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও কলকাতার জামাইবাবু সুনীল ছেত্রী সুযোগ পেয়ে যায় সমতা ফেরানোর – কিন্তু ব্যর্থ হন পেনাল্টি থেকে গোল করতে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যেনো বাগানে ফুল ফোটানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয় ; দিমিত্রি, কাউকো, মনভির প্রত্যেকে যেন সবুজ গালিচা কে নিজের মনের ক্যানভাসে রূপান্তরিত করে নিয়েছিলো – তারই ফসল নয় মিনিটের মধ্যে তিন গোল। গোল আরও হতে পারতো কিন্তু মনে হয় কামিংস, সাদিকু, দিমিত্রিরা ১৫ ই এপ্রিলের জন্যে তুলে রেখেছে।

তখন শৈশবের মননে সবুজ মেরুন রং জমাট বাঁধছে, আধো আধো স্মৃতি এখনও জানান দেয় এই যুবভারতীতে চিমা ওকোরির হ্যাট্রিকে মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড কে হারিয়ে প্রথম জাতীয় লীগ জয়ের উচ্ছাস। আজ যৌবনের প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মনে – প্রায় ২৬ বছর আগের ম্যাচ শেষের উন্মাদনা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারবো আগামী সোমবার?
প্রশ্নটা সহজ… আর উত্তর?

Starting XI:

Vishal(GK), Héctor, Subhasish, Anwar, Kauko, Abhisek, Amandeep, Manvir, Thapa, Dimitri, Sadiku

Loading

loader