ডার্বি জয়ের আত্মবিশ্বাসকে কেরালার বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে চান কোচ হাবাস!

হাফ টাইমের আগেই ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকদের গ্যালারির রেলিং থেকে পতাকা, ব্যানার খুলে নেওয়ার ছবি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয় যে ম্যাচে কাদের আধিপত্য কায়েম ছিল। শেষ কবে বাঙালির বড় ম্যাচে প্রথমার্ধে কোনও দল ৩ গোলে এগিয়ে আছে, মনে করতে পারছি না। কিন্তু খেলার শুরুতেই প্রায় ১২ মিনিটের মাথায় ভিশাল কায়েথের ক্ষণিকের ভুলে ক্লেইটন সিলভা পেনাল্টির সুযোগ পেয়ে যায়। ইস্ট বেঙ্গল গ্যালারিতে তখন উৎসব প্রায় শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু ভিশাল অন্য কিছু ভেবেছিলেন – প্রথম পর্বের ম্যাচের প্রতিশোধ নিলেন, অনবদ্য দক্ষতায় বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ক্লেইটনের শট প্রতিহত করার সাথে সাথেই যেনো পুনর্জন্ম হলো তাঁর। ম্যাচের লাগাম তখন থেকে নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় শুভাশিস, কামিংসরা। একের পর এক আক্রমনের ফসল তিন তিনটি গোল। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই আবার মোহনবাগান একটা নিশ্চিত পেনাল্টির আবেদন করে, কিন্তু রেফারি তেজস নাগভেঙ্কর ঠিক কী কারণে সেই আবেদন নাকচ করে দেন সেটা বোধগম্য হলোনা।
এরপর ইস্ট বেঙ্গল দুটো পরিবর্তন ( সায়ন, বিষ্ণু) করার পরে পাল্টা প্রেসিং ফুটবল খেলতে শুরু করে। এই সময়ে বাগানের মাঝ মাঠে মিস পাস শুরু হয় যার ফলে ডিফেন্সের উপর চাপ সৃষ্টি হতে থাকে – ফলস্বরূপ, সল ক্রেসপো অসাধারণ গোল করে নিজেদেরকে লড়াইতে রাখে। পরের দিকে সাদিকু নামার পরে মোহনবাগান যেরকম সুযোগ পেয়েছিলো সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে আবার আর একটা ৫ গোলের ম্যাচ দেখতে পারতাম আমরা। কিন্তু এতে দিমিত্রি, সাহালদের মরসুমের শেষ বড় ম্যাচ জিততে কোনো অসুবিধা হয়নি। অনেকদিন পর আবার লীগ টেবিলের শীর্ষে উঠে আসার পর আপামর সবুজ মেরুন জনতার কাছে শীল্ড হাতে ছুঁয়ে দেখার হাতছানি দিচ্ছে।

তাই কোচ হাবাসের কাছে ডার্বি জয় তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করার মতো সময় নেই এখন – কাল আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ কেরালার বিরুদ্ধে কোচির মাঠে। মোহনবাগানের কাছে এখন সবচেয়ে সহজ অঙ্ক – প্রত্যেকটা ম্যাচ জিততে থাকো, তাহলে বাকিদের দিকে আর তাকাতে হবে না। কালকের প্রথম একাদশে আমরা হয়তো দীপক টাংরির প্রত্যাবর্তন দেখতে চলেছি, কার্ড সমস্যা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন। আশা করা যাচ্ছে যে হাবাস একই টিম নামাতে পারেন, একমাত্র পরিবর্তন হিসেবে অভিষেকের জায়গায় দীপক টাংরি শুরু করতে পারেন। এই মুহূর্তে মোহনবাগানের কোনো চোট আঘাত জনিত সমস্যা নেই।
কিন্তু কেরালা ব্লাস্টার্স কালকের ম্যাচে চোট ও কার্ডের জন্য কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার যেমন নৌচা খেলতে পারবে না। লেসকোভিচ এখনও পর্যন্ত অনিশ্চিত চোটের জন্যে। তবে দিমানতিয়াকোস যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। প্রসঙ্গত, প্রথম পর্বের ম্যাচে দিমানতিয়াকোসের গোলে মোহনবাগান ঘরের মাঠে হেরে যায়। এছাড়া দাইসুকে প্রতি ম্যাচেই নজর কাড়ছে।

মোহনবাগান জনতার কাছে এখন স্মৃতিমেদুরতার আঙ্গিকে স্টেন গান সেলিব্রেশন ধরা দিচ্ছে দুই অজি তারকার মধ্যে। সত্যি! মেরিনার্সরা প্রত্যেকে নিজেদের বন্দুকের ম্যাগাজিন লোড করে রেখেছে, কারণ লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। হাতে যে আর মাত্র পাঁচটা ম্যাচ।

Line-up Prediction:

Kick off Time: 7:30PM(IST)

Live telecast/streaming: JioCinema, Sports18 3, DD Bangla, OneFootball(International)

Venue: Jawaharlal Nehru International Stadium, Kochi

Loading

loader