অবশেষে কাঙ্খিত জয়, লীগের প্রথম তিন পয়েন্ট ঘরে তুললো হোসে মোলিনার মোহনবাগান। পিছিয়ে থেকেও ফিরে আসার নমুনা মোহনবাগান এর আগেও ডুরান্ড কাপে দেখিয়েছে, কিন্তু সেটা ৯০ মিনিটের মধ্যে জিততে পারেনি। বলা বাহুল্য, ঘরের মাঠে আগের তিন ম্যাচের ধাক্কা সামাল দিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলো সবুজ মেরুন বাহিনী। কিন্তু মোটেও সহজ ছিল না নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট হাসিল করা।
প্রতি আক্রমণ নির্ভর কৌশলী রণনীতি নিয়ে আসা বেলানির দল ম্যাচের চার মিনিটের মধ্যেই গোল করে এগিয়ে যায়। আশিষ রাইয়ের ভুল কভারিং এবং আপুইয়ার সঠিক মার্কিং এর সুযোগ নিয়ে বেমাম্মের প্রায় পনেরো গজ দূর থেকে জোরালো শটে বিশাল কাইথ কে পরাস্ত করেন। গোল খেয়ে যেন সম্বিৎ ফেরে পেত্রাতোস, স্টুয়ার্টদের। নয় মিনিটের মাথায় পেত্রাতোসের ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত হেডে জালে বল জড়িয়ে সমতা ফেরান মোহনবাগানের তরুণ তুর্কি দীপেন্দু বিশ্বাস। তারপর খেলার রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিলেও মাঝ মাঠের সঠিক ব্লকারের অভাবে আবার প্রতি আক্রমণে বক্সের ডানদিক থেকে কোণাকুণি শটে নর্থ ইস্ট কে আবার এগিয়ে দেন মরোক্কান উইঙ্গার আলাইদিন। এই সময়ে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও প্রকৃত বক্স স্ট্রাইকারের অভাবে মোহন বাগান গোল করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে থাপার পরিবর্তে সাহাল এবং মনভিরের বদলে কামিংস নামার ফলে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় মোহনবাগান। ফলস্বরূপ, ৬১ মিনিটে নর্থ ইস্টের গোলকিপার গুরমিতের ভুলের সুযোগে শুভাশিস সমতা ফিরিয়ে সবুজ মেরুন গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করেন। আর ৮৭ মিনিটে সাহালের বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে কাঙ্খিত গোল করেন কামিংস।
ম্যাচ জিতলেও মোলিনার কোচিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। দলে কামিংস, ম্যাকলারেনের মতো স্ট্রাইকার থাকতেও কেনো শুরুতে পেত্রাতোস এবং স্টুয়ার্ট কে নিয়ে প্রথম একাদশ তৈরি করলেন? প্রথমার্ধে কোনও স্ট্রাইকার ছাড়াই খেলে মোহনবাগান।
মাঝ মাঠে আগের ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা দীপক টাংরি কে বসিয়ে রেখে অনিরুদ্ধ থাপাকে খেলানো ব্যাক ফায়ার করে যায়। কোনও ব্লকিং বা কভারিং কিছুই ছিল না প্রথমার্ধে।
মোলিনার এরকম গবেষণামূলক কোচিং চলতে থাকলে এই মরসুমে সাফল্য পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে।